ময়ূরভঞ্জের
রাজার সামন্ত রূপে এই বংশ এ প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় । এই রাজ্য নয়াগ্রাম ও
জামিরাপাল দুভাগে বিভক্ত ছিল । নয়াগ্রামের দ্বিতীয় রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ
খেলাগড়ে গ্রাম পত্তন করেন ও তৃতীয় রাজা বলভদ্র সিংহ নির্মান কার্য্য শেষ করেন ।
নয়াগ্রামের অপর দুর্গ এই বংশের রাজা চন্দ্রকেতু সিংহ কর্তৃক খৃষ্টীয় ষোড়শ শতকে
নির্মিত হয় । মুসলমান রাজত্বের শেষ ভাগে নয়াগ্রাম ও জামিরাপালের জমিদারদ্বয়
মহারাষ্ট্রীয় দের সাথে মিলিত হয়ে দেশে অত্যাচার শুরু করে । কোম্পানীর সঙ্গেও
শত্রুতা শুরু করে ।
১৮০৩ সালে দ্বিতীয় মারহাট্টা যুদ্ধের পর মারাঠা রাজ্যগুলি ইংরেজ কোম্পানীর অধিকারভুক্ত হলে, নয়াগ্রামের রাজা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান । ইংরেজ তার পুত্র পরশুরাম সিংহের সঙ্গে জমিদারী বন্দোবস্ত করেন । কুলটিকরীতে নয়াগ্রাম রাজবংশের রাজধানী ছিল । এই বংশের শেষ রাজা পৃথ্বীনাথ সিংহ অপুত্রক অবস্থায় ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে মারা গেলে তাঁর দুই পত্নীর মধ্যে সম্পত্তি থাকার দরুন নানা প্রকার গোলযোগ হয় । ১৮৮৬ সালে এই জমিদারী কোর্ট অব্ ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত হয় । শেষে পৃথ্বীনাথের দেনা শোধের জন্য খেলাড় নয়াগ্রাম পরগনাটি ১৮৯০ সালে পাঁচ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদুরের কাছে বিক্রি হয় । এখন এগুলি সরকারের খাসমহল । কুলটিকরীতে রাজার বসত বাড়ী এখনও আছে ।
১৮০৩ সালে দ্বিতীয় মারহাট্টা যুদ্ধের পর মারাঠা রাজ্যগুলি ইংরেজ কোম্পানীর অধিকারভুক্ত হলে, নয়াগ্রামের রাজা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান । ইংরেজ তার পুত্র পরশুরাম সিংহের সঙ্গে জমিদারী বন্দোবস্ত করেন । কুলটিকরীতে নয়াগ্রাম রাজবংশের রাজধানী ছিল । এই বংশের শেষ রাজা পৃথ্বীনাথ সিংহ অপুত্রক অবস্থায় ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে মারা গেলে তাঁর দুই পত্নীর মধ্যে সম্পত্তি থাকার দরুন নানা প্রকার গোলযোগ হয় । ১৮৮৬ সালে এই জমিদারী কোর্ট অব্ ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত হয় । শেষে পৃথ্বীনাথের দেনা শোধের জন্য খেলাড় নয়াগ্রাম পরগনাটি ১৮৯০ সালে পাঁচ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের নবাব বাহাদুরের কাছে বিক্রি হয় । এখন এগুলি সরকারের খাসমহল । কুলটিকরীতে রাজার বসত বাড়ী এখনও আছে ।
- সংগৃহীত